• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

যে কোনো পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব: প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
যে কোনো পরিকল্পনা হতে হবে পরিবেশবান্ধব: প্রধানমন্ত্রী
বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে দেশকে রক্ষা করা আমাদের লক্ষ্য। খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস প্রতিনিয়ত মোকাবিলা করতে হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। যে পরিকল্পনা প্রহণ করা হোক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে।”

শনিবার (১১ মে) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবির) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

সরকারপ্রধান আরও বলেন, “খরচের দিকটাও বিবেচনা নিতে হবে। কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সে পরিকল্পনা থেকে রিটার্ন কী আসবে, জনগণ কীভাবে উপকৃত হবে, এভাবেই আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধুমাত্র একটা নির্মাণ কাজ করার জন্য যেন নির্মাণ করা না হয়, সেটাই আমার অনুরোধ।”

এসব ব্যাপারে পার্টির এমপিদের নির্দেশনা দেয়ার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “একনেকের মিটিংয়েও বলেছি। এ রকম কোনো প্রকল্প দেখলে অবশ্যই আমি সেটা অনুমোদন করব না। যেটা আমাদের মানুষের কাজে লাগবে, দেশের কাজে লাগবে, যে প্রকল্প শেষ করলে মানুষ লাভবান হবে, আমাদের কিছু উপার্জন হবে, সেটাই আমরা দেখতে চাই। সেটাই পরিকল্পনা করবেন আপনাদের কাছে আমি এটাই চাই।”

হাওর এলাকায় মাটি ভরাট করে আর কোনো রাস্তা হবে না সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়ার বিষয় উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বন্যার সময় অনেক রাস্তা ভেঙে যায়। যেখানে ভেঙে যাবে সেখানে মাটি ভরাট করতে দিই না। সেখানে ব্রিজ বা কালভার্ট করে দিয়েছি। কারণ আবার যদি বন্যা হয়, তাহলে আবারও ভাঙবে, সেই বিষয়গুলো মাথা রেখে পরিকল্পনা করতে হবে।”

অনেকে প্রশ্ন করেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রাস্তা বানাতে কম খরচ, বাংলাদেশ বেশি খরচ হয় কেন? এমন প্রশ্ন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, “যারা এসব প্রশ্ন করে আমার মনে হয় তাদের বাংলাদেশের মাটি সম্পর্কে ধারণা নেই। কারণ, আমাদের মাটি হলো নরম মাটি। যেটাকে বলে দোআঁশ মাটি। টেকসই কিছু করতে গেলে আগে আমাদের মাটিটা তৈরি করতে হয়। মাটিকে যথাযথভাবে তৈরি করতে পারলে তাহলে সেটা টেকসই হয়।”

জলাধার যাতে নষ্ট না হয় সেভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেখেছি একটা সুন্দর বড় পুকুর, তার ভেতরে বিল্ডিং বানানোর প্ল্যান নিয়ে আপনারা হাজির হন। আমি আসার পর যে কয়টা এসেছে, আমি বাতিল করে দিয়েছি। আমি আসার আগেই এই ঢাকা শহরে অনেক পুকুর বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ওই এলাকার যত পানি সেটা যাবে কোথায়?”

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।

Link copied!