• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘যেকোনো পররাষ্ট্রনীতি দেশের স্বার্থে তৈরি করা হয়’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০৩:৫৪ পিএম
‘যেকোনো পররাষ্ট্রনীতি দেশের স্বার্থে তৈরি করা হয়’

যেকোনো দেশের পররাষ্ট্রনীতি সেই দেশের স্বার্থে তৈরি করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, “আমাদের দেশের অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত জানতে হবে। রাজনৈতিক যে দিকদর্শন সেটাও আমাদের জানতে হবে। আমরা এখন খুব ইন্টারডিপেনডেন্ট বিশ্বে থাকি। খুব ডিপেনডেন্ট, একটা কিছু হলেই ঝামেলা হয়ে যায়।”

রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অর্জন-সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে আব্দুল মোমেন বলেন, “আমাদের সামনে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত বড় চ্যালেঞ্জ। এরা শক্তিশালী দেশ। এর মধ্যে দুটি আমাদের প্রতিবেশী। এদের সঙ্গে আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যাতে, সম্পর্কটা উন্নত করতে পারি।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “একক দেশ হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খুব সুসম্পর্ক আছে। বন্ধু দেশ বলে অনেক কিছু বলে, সুপারিশ দিতে পারে। বন্ধু না হলে কিছু বলত না, তখন আক্রমণ করত; বন্ধু বলে বেশি সুপারিশ দেয়। সুপারিশ ভালো হলে সেগুলো অবশ্যই গ্রহণ করি।”

ভারতকে বন্ধুদেশ উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “ঐতিহাসিকভাবে ভারত আমাদের বড় বন্ধু। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক একটা অপূর্ব সম্পর্ক। বাংলাদেশ-ভারত বড় সমস্যাগুলো সমাধান করেছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিনা বুলেটে এ ধরনের অর্জন কেউ করতে পারেনি।”

চীনের প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “চীন আমাদের বড় উন্নয়ন সহযোগী। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য অনেক বেশি। তারাও চাচ্ছে বাণিজ্য আরও বাড়ানোর জন্য। আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক।”

তিনটি বড় দেশ ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ব্যাখ্যায় মোমেন বলেন, “বড় দেশগুলো ছাড়াও আমার সামনে যে চ্যালেঞ্জ অন্যান্য রাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও সৌদি আরব। সৌদি আরব ২৬ লাখ লোককে চাকরি দিয়েছে। তার সঙ্গে আমার বিভিন্ন রকমের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ রয়েছে। জাপানও বড় সহযোগী। তাদের থেকে সবচেয়ে বড় ঋণ নিয়েছি।”

Link copied!