ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধিতা সহ্য করা হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, “গত এক মাস ধরে একটা দলের ‘অবৈধ’ কর্মসূচি চলছে। তারা এক দিকে অবৈধ অবরোধ দিচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। এতে বোঝা যায় তাদের অবরোধ কর্মসূচি দেশের জনগণ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন।”
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে নারিন্দা সাদেক হোসেন খোকা মাঠে সংসদীয় আসনভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে ‘বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে’ আয়োজিত এক কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “আমার একটি প্রশ্ন, এই হরতাল বা অবরোধের মানেটা কি? এই কর্মসূচির মাধ্যমে আসলেই কি সরকারের পতন ঘটানো সম্ভব? এটা কি কোনো প্রতিবাদের প্রতীকী ভাষা? তাহলে জনগণের সম্পৃক্ততা কোথায়? জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এসব কর্মসূচি অর্থহীন। আর যদি তারা সরকারের পতনই না ঘটাতে পারে তাহলে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে লাভ কি? এ ধরনের প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে।”
যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, “জনগণের সম্পদ নষ্ট করে জনগণের সমর্থন অর্জন করা যায় না। এই কৌশল কোনো দিন কাজে দেবে না। আপনারা জানেন আমরা দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করে তাদের রাজনীতি বন্ধের জন্য। কারণ আমাদের যুক্তি একটাই, এই দেশে কোনো দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী, যারা এই দেশের অস্তিত্বকে বিশ্বাস করে না তাদের তো রাজনীতি করার অধিকার নেই।”
পরশ বলেন, “দেশে আওয়ামীবিরোধী মতবাদ থাকতে পারে এবং ভিন্নমত গণতন্ত্রের অলংকার। আমরা বিশ্বাস করি একটি প্রগতিশীল, উদার মনার রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হবে। যারা আওয়ামীবিরোধী হতে পারে, ভিন্নমতের হতে পারে কিন্তু দেশবিরোধী কোনো শক্তি আমরা চাই না। ভিন্ন মতের নামে দেশবিরোধীতা সহ্য করা হবে না।”
উপস্থিত নেতাকর্মীদের পরশ বলেন, “আপনাদের কারণেই এই দেশবিরোধী অপশক্তি ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে বের হয়ে তারা দু-একটি বাসে আগুন দিচ্ছে, ককটেল মারছে।”
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
