বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা আজও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে আঘাত আনতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থেকে মোকাবিলা করতে হবে।”
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড না হলে বাংলাদেশ এতদিনে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতো। স্বাধীনতাবিরোধী, গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির অভিন্ন শত্রু।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্যদিয়ে অর্জন ও উন্নয়নে ৫০ বছর পিছিয়েছে বাংলাদেশ।”
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল এবং পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার গর্ভবতী স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।