রাজধানীসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে (ডেভিল হান্ট) ৪৭৭ জনসহ মোট এক হাজার ৩৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিশেষ এই অভিযানে বিদেশি পিস্তল একটি, ম্যাগাজিন দুইটি, গুলি ২০ রাউন্ড, ছুরি ২০টি, রামদা ২টি ও হেমার ৩টি উদ্ধার করা হয়। বিশেষ এই অভিযানের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৮৭০ জন জন রয়েছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলার শিকার হন প্রায় ৩০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়।
খবর পেয়ে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত হন। সেখানে সমন্বয়ক সারজিস আলম জানান, ফ্যাসিবাদের লোকজনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এছাড়াও অন্যান্য নেতারা দাবি করেন, শিক্ষার্থীরা ওই রাতে ডাকাতির খবর পেয়ে তা প্রতিহত করতে সেখানে গিয়েছিলেন।
এ ঘটনার পরদিন শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে যৌথ বাহিনী অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরুর কথা জানানো হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে যাদের বেশিরভাগই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
এ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত আট দিনে সারা দেশে এই অভিযানে মোট ৪ হাজার ৪০১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।