• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা ৭ দিনের রিমান্ডে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
আনার হত্যা : আ.লীগ নেতা ৭ দিনের রিমান্ডে
আদালত প্রাঙ্গণে কাজী কামাল আহমেদ বাবু। ছবি : সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবুর ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রোববার (৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে কামাল আহমেদ বাবু। ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও রয়েছেন তিনি। ডিবির ভাষ্য, কিছু তথ্যের ভিত্তিতে বাবুকে আটক করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, এমপি আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে। শিমুল ভূঁইয়া ও বাবুর দেওয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাবু ঝিনাইদহ সদর থানায় হাজির হয়ে একটি জিডি করেন। ওই জিডিতে তিনটি মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন বাবু। এর একটি আইফোন, একটি ভিভো এবং একটি রেডমি। জিডি করার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়ায় বাসা থেকে আটক করা হয় বাবুকে। হত্যাকাণ্ডের পর শাহীনের সঙ্গে দফায় দফায় কথা হয় বাবুর। এসএমএস লেনদেনও হয়েছে। একসঙ্গে বৈঠকেও বসেছেন। উঠে এসেছে শাহীনের সঙ্গে বাবুর অর্থ লেনদেনের বিষয়ও। শিমুল ভূঁইয়া, বাবু এবং শাহীনের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে।

বাবুকে আটকের পর তার বড় ভাই কাজী গিয়াস আহমেদ বলেন, “চরমপন্থি সংগঠন জনযুদ্ধ (লাল পতাকা) প্রধান ডা. মিজানুর রহমান টুটুল আমাদের মামাতো ভাই। শিমুলের বোনকে বিয়ে করেছিলেন ডা. টুটুল। টুটুল শাহীনের আপন চাচাতো ভাই। সেই সূত্রে শিমুল, শাহীন উভয়ই আমাদের আত্মীয়।”

এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার উদ্দেশে কলকাতায় যান আনার। সেখানে বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। পরদিন দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন বলে ওই বাসা থেকে বের হলেও তিনি যান কলকাতা নিউটাউনের একটি আলিশান ফ্ল্যাটে। সেইদিন ওই ফ্ল্যাটে হত্যার শিকার হন তিনি। এরপর লাশ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেন হত্যাকারীরা। এখন পর্যন্ত তার লাশের সঠিক সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

Link copied!