ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন কসাই জিহাদ। খুনের ঘটনায় কসাই জিহাদকে গ্রেপ্তার করে কলকাতার পুলিশ। এরপর শুক্রবার (২৪ মে) তাকে আদালতে তোলা হয়।
কলকাতার বারাসাত আদালতে তোলার পর ইডির পক্ষ থেকে জিহাদের বিরুদ্ধে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তার ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ বলছে, কসাই জিহাদ জানিয়েছেন, এমপি আনোয়ারুলের দেহ ৮০ টুকরা করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার বিনিময়ে তিনি ৫ হাজার টাকা পেয়েছেন। আর তার এই স্বীকারোক্তির পর তদন্তকারীদের একাংশের মত, সেসব খণ্ডাংশ উদ্ধার করা আরও কঠিন হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই তা কোনো না কোনো জলচর প্রাণীর পেটে চলে যেতে পারে।
১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজীম। ১৩ মে রাতে তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন। দিন দুই নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে বনগাঁ থেকে গ্রেপ্তার হয় জিহাদ ও সিয়াম নামে দুই ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে সিয়াম আরও জানায় মুম্বাই থেকে কলকাতায় এসে কাজ শেষের পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে চলে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার।
পুলিশ জানায়, এমপি আনোয়ারুল আজিমের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরা একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে।