• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের আদর্শের প্রতীক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০১:০৭ পিএম
আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের আদর্শের প্রতীক

প্রয়াত আলতাফ মাহমুদ ছিলেন সাংবাদিক সমাজের অহংকার ও আদর্শের প্রতীক। তিনি ভোগবিলাসী জীবনযাপনে বিশ্বাসী ছিলেন না। শতভাগ সহজ-সরল জীবনযাপন করে গেছেন।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে প্রয়াত সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন হলে আয়োজিত এক স্মরণসভায়  সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন। ‘সেভ দ্য জার্নালিস্ট ও জার্নালিস্ট ভয়েস অব বাংলাদেশ’ এ সভার আয়োজন করে।

সংগঠনের সভাপতি ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সাবেক সভাপতি কাজী রফিকের সভাপতিত্বে ও ডিইউজের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি মোরছালিন নোমানী, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সিনিয়র সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল ও স্বপন দাস গুপ্ত, বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, সাবেক সহসভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, পলিটিক্যাল রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আলম হোসেন, ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সফিকুল ইসলাম, ডিইউজে সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, “আলতাফ মাহমুদ সাংবাদিকতায় আসেন গত শতকের সত্তরের দশকে। তিনি অবিভক্ত ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ডিইউজের পাঁচবার সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন আলতাফ মাহমুদ। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি ছিলেন আপসহীন নেতা। তিনি বলতেন, ‘আমাদের বাংলাদেশের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কাজ শুরু করতে হবে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।’”

বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, “সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ নেতা হিসেবে হালুয়া-রুটি ভাগাভাগীর নীতিতে বিশ্বাস করতেন না। ক্ষমতাকে সুযোগ-সুবিধার আদায়ে ব্যবহার করেননি। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক হয়েও অন্য নেতাদের মতো রাষ্ট্রীয় সুবিধা নেননি। সাংবাদিকদের যেকোনো দাবি আদায়ের সংগ্রামে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন।”

জলিল ভূঁইয়া বলেন, “আমরা যখন ইউনিয়ন করতাম তখনো আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিভেদ ছিল। কিন্তু এখনকার মতো টেবিল ভাগাভাগি ছিল না।”

ডিইউজে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আলতাফ মাহমুদ একজন স্বজ্জন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। তিনি আজীবন সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন। প্রতিবছর অন্তত এক থেকে দুটি স্মরণসভার আয়োজন করা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় তার মতো সাংবাদিকের আদর্শ মেনে চলা উচিত।

মোশারফ হোসেন তার বক্তব্যে সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় আর পেশাগত সম্পর্কের স্মৃতি তুলে ধরেন। স্মরণ করার চেয়ে তার আদর্শ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য উত্তম কাজ হবে। তিনি ছিলেন সাদা মনের সহজ-সরল মানুষ। মানুষকে ভালোবাসা আর মানুষের প্রতি সমব্যথি হওয়ার গুণ ছিল তার মধ্যে।”

সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বলেন, “রাজনৈতিক আদর্শ থাকলেও সেই আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেননি। কখনো নীতি বিসর্জন দেননি। তিনি এমন নেতা ছিলেন যে কোনো সাংবাদিক বিপদে পড়ার খবর পেলেই চলে যেতেন।”

Link copied!