মোহাম্মদ এ আরাফাতকে ঢাকা মহানগর উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের দুই-তিনজন কর্মকর্তার সীমান্ত পার করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন গুলশান সোসাইটির নির্বাহী কমিটির সদস্য আরাফাত আশওয়াদ ইসলাম। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ বাহিনীকে আরাফাত উসকে দিয়েছেন দাবি করে আশওয়াদ ইসলাম বলেন, “আন্দোলনের সময় মোহাম্মদ এ আরাফাত একের পর এক বাজে মন্তব্য করেছেন। গুলি শেষ হবে না বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উসকে দিয়েছেন। ফলে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।”
দেশে ইন্টারনেট শাটডাউনের সিদ্ধান্ত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাতের কাছ থেকে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন গুলশান সোসাইটির নির্বাহী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, কোনো আইন না মেনে শুধু একটি মেসেজ দিয়ে দুটি টেলিভিশন ১৫ মিনিটের জন্য বন্ধ করেছিলেন আরাফাত। কিছু হলেই টেলিভিশন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওবায়দুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে মোহাম্মদ এ আরাফাতকে আটকের কোনো তথ্য নেই। ডিবিতে খোঁজ নিয়েছিলেন, সেখানেও আটকের কোনো তথ্য মেলেনি।
এদিকে আরাফাতকে গ্রেপ্তারের খবর চাউর হলে ঢাকার এক উপনির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম মিষ্টি নিয়ে থানায় যান। পথচারী ও যানবাহনের চালক-যাত্রীদের মিষ্টি খাওয়ান তিনি।