রাজধানী ঢাকার গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সরকার। মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের কেউই মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
এর আগে মঙ্গলবার গভীররাতে মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
ইজতেমা ময়দান সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ৫ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজমেতা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আগে থেকেই ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়ের পন্থীরা।
আর ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমে নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থান করছিলেন সাদ অনুসারী মুসল্লিরা। মঙ্গলবার রাত ৩টার পর মাওলানা সাদপন্থী শত শত মুসল্লি কামারপাড়া ব্রিজ পার হয়ে ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসের গেট দিয়ে ময়দানে প্রবেশ করেন। এ সময় ইজতেমা ময়দানের ফটকে পাহারায় থাকা জুবায়ের অনুসারীদের মারধর করে ফটক খুলে ময়দানে প্রবেশ করে সাদপন্থী মুসল্লিরা।
ময়দানের বিভিন্ন স্থানে ঘুমিয়ে থাকা জুবায়েরপন্থী মুসল্লিদের হামলা চালায় মাওলানা সাদ অনুসারীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কিছু মুসল্লি আহত হন। তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লা মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।