বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বসে আওয়ামী লীগ। বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একইভাবে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
তবে সরকার দলের আলোচনায় বসার আগ্রহকে নাকচ করে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “এখন আর আলোচনার সুযোগ নেই। সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।”
আবু বাকের মজুমদার বলেন, “নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ ও আটক এবং গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন চলমান আছে। কারও সঙ্গে আলোচনা নয়, সিদ্ধান্ত আসবে রাজপথ থেকে।”
আবু বাকের আরও বলেন, “যখন আমরা ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কার্যালয়ে বন্দী ছিলাম, তখনই আন্দোলন স্থগিত করতে বলা হয়েছিল। এমনকি জোর করে আলোচনার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছিল। এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আমরা অনশনে বসেছিলাম।”
আবু বাকের বলেন, তারা আপসহীন থাকবেন। এ জন্য যেকোনো মূল্য পরিশোধে রাজি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “সমন্বয়কদের সঙ্গে তাদের এখনো যোগাযোগ হয়নি। যোগাযোগ করা হবে।”
এদিকে ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে শুক্রবার (২ আগস্ট) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও পরদিন রোববার (৪ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।