অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে শিগগিরই আওয়ামী লীগ রাজপথে আন্দোলন শুরু করতে পারে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যমটি।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন, “আমরা আন্দোলন এবং আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার পরিকল্পনা করছি।”
প্রতিবেদনে বলা হয়, শফিউল আলম চৌধুরী আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন নেতার মধ্যে রয়েছেন যারা গেল আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাসিনা। তবে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করতে এবং একটি সামরিক হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।
ভয়েস অব আমেরিকাকে শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, তারা দলের নেতাদের একত্রিত করার জন্য কাজ করছেন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করার জন্য অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তিনি বলেন, “দুই সপ্তাহ কিংবা এক মাস পরে, আমরা আন্দোলন করতে পারি।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। আবার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দ্রুত ফেরানোর কাজ নিশ্চিত করতে ইউনূস সরকারকে প্রকাশ্যে চাপও দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রগতিতে অসন্তুষ্ট দেশের অন্যতম বড় একটি রাজনৈতিক দল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মতে, “এই সরকার কিছুটা ধীর গতিতে চলছে।” চলতি মাসের শুরুতে ঢাকায় নিজের বাসভবনে ভয়েস অব আমেরিকাকে ফখরুল বলেন, “নির্বাচন কমিশন, তারা পদত্যাগ করেছে। কিন্তু তারা (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করেনি।”
প্রতিবেদন মতে, নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা দীর্ঘায়িত হবে এবং আওয়ামী লীগ হারানো রাজনৈতিক স্থান ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবে বলে মনে করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সমর্থক গোষ্ঠী আছে। তারা অনেক বড়, পুরনো একটি রাজনৈতিক দল। তাই এখানে তাদের সমর্থন আছে। তারা এখানে একত্রিত হওয়ার এবং সমস্যা তৈরি করার জন্য সময় পাবে (নির্বাচন বিলম্বিত হলে)।”