তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “আওয়ামী লীগ চাইলে এককভাবে নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু শরিকদের গুরুত্ব দেয় বলে জোটগতভাবে নির্বাচন করে। এবারও তাই করবে।”
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রায় ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ায় জাতীয় পার্টিকে ধন্যবাদ। ২০০৮ সালে মহাজোট করেছিলাম। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে কৌশলগত জোট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত, জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আর নির্বাচনে আসল সমঝোতা করার এখনো অনেক সময় আছে। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে, প্রত্যাহারের এখনো অনেক সময় আছে। সুতরাং বরাবরের মতোই আমরা একটি সমঝোতায় উপনীত হবো। এবার ২৭ শতাংশ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিলের এই হার অন্যবারের তুলনায় একটু বেশিই। আপিল করলে হয়তো অনেকে টিকে যাবে, সেটিই আমি আশা করছি।”
অনেকেই বলছেন আওয়ামী লীগে শরিকদের গুরুত্ব কমে গেছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, “সব সময়ই শরিকরা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই জোটগতভাবে এবারও নির্বাচন করছি। এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সামর্থ্য আমাদের আছে।”
শরিকদের কতগুলো আসন দেওয়া হতে পারে? সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেটি সমঝোতায় উপনীত হলে বলা যাবে, তার আগে বলা যাবে না। যারা নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই সমঝোতা করা হবে।”