চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক জনতার সম্পাদক আহসান উল্লাহ্। সোমবার (৬ জানয়ারি) বাদ জোহর রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে ফজরের নামাজের পর মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া বেলতলা মসজিদের সামনে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার কর্মস্থল দৈনিক জনতা অফিসের সামনে বেলা সাড়ে ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। সবশেষ দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শ্রদ্ধা জানান জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ সম্পাদক পরিষদ, জনতা পরিবার ও খুলনা বিভাগ সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূইঁয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আবদুল মজিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সহসভাপতি এম এ কুদ্দুস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদনে শেষে বাদ জোহর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আহসান উল্লাহ্। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। এরমধ্যে ৬১ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন তিনি।
১৯৬২ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ শুরু করেন আহসান উল্লাহ্। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদাররা দৈনিক ইত্তেফাক অফিস পুড়িয়ে দিলে আহসান উল্লাহ্ দূর থেকে দাঁড়িয়ে পোড়া অফিস দেখেছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি যোগ দেন দৈনিক বাংলার বাণীতে। এরপর ১৯৭৫ সালে ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদক হন। সম্পাদক থাকার সময়ই ১৯৭৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৮০-৮১ সালে তিনি ওই বিভাগ থেকে এমএ পাস করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের দৈনিক জনতা পত্রিকায় সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালে দৈনিক জনতা বন্ধ হয়ে গেলে তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় কাজ শুরু করেন। এরপর ২০০৪ সালে আবার দৈনিক জনতায় ফিরে আসেন বার্তা সম্পাদক হিসেবে। কিছুদিন পর তিনি সম্পাদক হন। আমৃত্যু তিনি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। আহসান উল্লাহ দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।