• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘তাসকিম খানকে ঘিরে দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ০৮:২২ পিএম
‘তাসকিম খানকে ঘিরে দুর্নীতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, “ঢাকা ওয়াসার এমডি তাসকিম খানের চুক্তির মেয়াদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। ১২ বছর ধরে তিনি একটার পর একটা চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছেন। এই তথ্যগুলো, ছবিসহ তার দুর্নীতির চিত্র, এমনকি তার চেহারাও মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। তার চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। তাকে ঘিরে যে দুর্নীতি চক্র গড়ে উঠেছে, সেই চক্র এখনো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় আছে। চক্রটির সঙ্গে জড়িত কেউ কেউ এখনো সক্রিয় আছেন কিংবা লুকিয়ে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয় সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “যেখানে একটি বড় বাজেট বরাদ্দ থাকে এবং কর্মকাণ্ড থাকে, সেখানে দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়ে যায়। দুর্নীতির পথ খুলে যায়। সে জায়গাগুলো বন্ধ করা আমাদের জন্য একান্ত জরুরি। যারা সরাসরি দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। ফাঁকফোকর দিয়ে যে দুর্নীতি হয়ে গেছে, সেটা হয়ে গেছে। কিন্তু আগামীতে এমন হলে, আমার নজরে নিয়ে আসবেন। অন্তত মূলনীতিটি যদি আমরা ঠিক করে দিয়ে যেতে পারি এবং সে ধারাবাহিকতায় চললে তাহলে বিশ্বাস আগামীতে দুর্নীতি কমে আসবে। যদি আমরা ন্যায়-নীতি ঠিক করতে পারি, দুর্নীতির এই জায়গাটা অনেকটা সীমিত হয়ে যাবে। আমাদের সামনে অনেক বড় কাজ। অনেক দিনের জঞ্জাল জমে আছে। এটা এক-দুই দিনে ঠিক হবে না। সবার সহযোগিতা থাকলে এটা ধাপে ধাপে সমাধান হবে।”

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের কাজের গতিশীলতা আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য খাতের সঙ্গে নিবিড় কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন। এছাড়া সিটি করপোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে আমরা বসব। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাযথ প্রিভেনটিভ ব্যবস্থা নিতে হবে।”

এ এফ হাসান আরিফ বলেন, “ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপ চলমান রয়েছে। মাঝখানে যেহেতু একটা বিরতি ছিল। এলাকায় মেয়র নেই। সিটি করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী, তিনি ব্যবস্থা নেবেন। সিটি করপোরেশন থেকে ডেঙ্গুর বিষয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে বসব। এখানে গণমাধ্যমের বিশেষ অবদান আছে।”

এ এফ হাসান আরিফ আরও বলেন, “সিটি করপোরেশন থেকে না হয় বিভিন্ন ডোবা-নালায় ওষুধ ছিটানো হলো, কিন্তু বাসা বাড়ির ছাদে, ফুলের টবে যে পানি জমে তা প্রতিরোধে নাগরিক সচেতনতা দরকার। এই সচেতনতার বৃদ্ধির জন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতা প্রয়োজন।”

Link copied!