ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে এখনো কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানান সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. রেজাউল করিম।
ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, “প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, এখন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিয়োগের কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। তাই এ বিষয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশ করা থেকে বিরত থাকতে আইন মন্ত্রণালয় অনুরোধ জানিয়েছে।”
এর আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপরই তার নিয়োগ বাতিলের দাবিতে আল্টিমেটান দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এক ফেসবুক পোস্টে এ আল্টিমেটাম দেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম একজন ফ্যাসিবাদের দোসর, তাকে ছাত্র-নাগরিক প্রত্যাখ্যান করছে। অনতিবিলম্বে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সৈয়দ রিফাত হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করতে হবে।”
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও লেখেন, “ঢাকার সব ছাত্র-নাগরিককে হাইকোর্টের সামনে শিক্ষা চত্বরে মার্চ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
এর আগে প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন ওবায়দুল হাসান। এ ছাড়া আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতিও পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।