কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নুসরাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
রোববার (২৮ জুলাই) ভোরে রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয় বলে তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন।
ঢাবি শিক্ষার্থী আব্দুল হান্নান মাসউদ ফেসবুকে লিখেন- “নুসরাত তাবাসসুম আপুকে আজ (রোববার) ভোরে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে তাদের সন্ধান ও মুক্তি চাই। এ নৈরাজ্য আর মেনে নেওয়া যায় না, দলমত নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ এখন সময়ের দাবি।”
ঢাবি শিক্ষার্থী তুহিন খানও ফেসবুকে নুসরাত তাবাসুমকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়ার খবর জানান।
এদিকে পাঠ্যবইয়ের শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পাতা ছিঁড়ে আলোচিত-সমালোচিত হওয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
শনিবার (২৮ জুলাই) রাত ১টার দিকে তাকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
আসিফ মাহতাবের ছোট বোন নাফিসা তাসনিম বলেন, “শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১টার পর ১৫ জনের একটি দল আমাদের বাসায় আসেন। তাদের বেশিরভাগের শরীরে ডিবির পরিচয় সম্বলিত পোশাক ছিল। তবে কেন আটক করা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা কিছু জানায়নি। তবে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। আমার মা এখন ডিবি কার্যালয়ে গেছেন। এখনো জানি না আমার ভাই কোথায় আছে।”
এর আগে শনিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে নিউমার্কেট ও সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে তুলে নেওয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওইদিন রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সম্পর্কে জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ দুই সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ডিবি হেফাজতে নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার। শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানান ডিবি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।