ছাগল-কাণ্ডে আলোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২৩ জুন) দুপুরে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।
মতিউরের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান ও উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন্নাহার।
সংবাদ সম্মেলন দুদক সচিব বলেন, “এনবিআরের সদস্য ড. মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৪ জুন কমিশন একটি অনুসন্ধান টিমের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে এক উপপরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা তাদের কাজও শুরু করেছেন।”
দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের গত ৪ জুনের সভায় সংস্থার মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হক অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এতে বলা হয়, মো. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে চারবার অনুসন্ধান করা হয়।
এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি।
মতিউর রহমানের ছেলে ইফাত মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল এবং ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে উঠে আসে।
এরপর থেকে মতিউর রহমানের ছেলের দামি ব্র্যান্ডের ঘড়ি, গাড়ি, আলিশান জীবনযাপন; মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।