বিসিএসের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে ও ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সিয়ামকে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ অনিক হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সংগঠনের নীতি ও নৈতিকতা পরিপন্থি কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকায় সিয়ামকে ডাসার ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ‘প্রশ্নফাঁস’ নিয়ে কথা বলেছেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন। তিনি বলেছেন, “প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলে কমিশন সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।”
কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, “যে অপরাধ করার অভিযোগ উঠেছে, তা যদি প্রমাণ হয়; তাহলে পিএসসির এখতিয়ারে আছে এমন সব ধরনের সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত।”
গাড়িচালক আবেদ আলীর বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, “যে প্রক্রিয়ায় প্রশ্ন নির্ধারণ ও সাপ্লাই করা হয়, সেখানে প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। তবে এ কার্যক্রমের সঙ্গে যেহেতু অনেকেই জড়িত থাকেন, তাই শতভাগ নিশ্চিতভাবেও বলা যায় না।”
গ্রেপ্তারদের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সোহরাব হোসাইন বলেন, “এরইমধ্যে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পর অগ্রগতিও জানানো হবে।”
সোহরাব হোসাইন আরও বলেন, “যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাদের সাসপেন্ড করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যে পরীক্ষাগুলোর কথা বলা হয়েছে ১২ বছরের, আজ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি ওইসব পরীক্ষা নিয়ে। ফলে সেটিই প্রমাণ করে পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু হয়েছে।”