ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নের্তৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। আত্মগোপনে থেকেই মাঝে মাঝে বিভিন্নভাবে বার্তা দিচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ‘চ্যানেল এস’ টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
‘আওয়ামী লীগের বড় রাজনৈতিক ভুল ছিল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে না পারা’- জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি অবশ্যই সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু যেহেতু আমরা দায়িত্বে ছিলাম আমাদের এ জায়গায় ব্যর্থতা ছিল যে বিএনপিকে আমরা একোমডেট করে নির্বাচনে আনতে ব্যর্থ হয়েছি।”
তিনি বলেন, “বিএনপি সব সময় নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার পথে হেঁটেছে। তারপরও আমি মনে করি আমরা যেহেতু সরকারে ছিলাম তাদেরকে আনতে না পারা আমাদের ব্যর্থতা। যদিও-বা তারা সব সময় আমাদের এভাবে ব্যর্থ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেটি আমাদেরও ব্যর্থতা। এটি আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটা আমার দলীয় বক্তব্য নয়।”
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “দেশের ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে’ প্রয়োজন হলে বিএনপির সঙ্গে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। বিএনপি যে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে, একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে, সেটির সঙ্গে আমরা একমত এবং প্রয়োজনে বিএনপির সঙ্গে একযোগে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা কাজ করব।”
হাসান মাহমুদ আরও বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবসহ তাদের শীর্ষ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা’- “এই বক্তব্যের সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত। এছাড়াও প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ প্রশ্ন থেকে শুরু করে দেশে যাতে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থানকেও সাধুবাদ জানাই।”
‘কোনো সরকারই কিন্তু শেষ সরকার নয়, মনে রাখতে হবে; আমাদের ক্ষেত্রে আমরাও শেষ সরকার ছিলাম না’- মন্তব্য করেন হাসান মাহমুদ