আওয়ামী লীগসহ ১১ দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ও আওয়ামী লীগের সময়ে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম রিট প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম দুটি রিট করেন। একটি হলো, আওয়ামী লীগের বিগত ৩টি নির্বাচনকে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেন ফিরিয়ে নেওয়া হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটআওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
অন্যদিকে এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে রাজনীতি কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে দ্বিতীয় রিট করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ছাড়াও অপর যে ১০টি দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে সেগুলো হলো জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী দল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, লেবারের ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেলিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোসিওলিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।
এর আগে বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। এর আগেই তাদের দাবি পূরণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।