প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “নারী অধিকারে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন প্রায় পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। সংসদ উপনেতার পদ কোনো নারীকে দিয়েই আমরা পূরণ করব।”
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রোকেয়া দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর উচ্চ আদালতে বিচারক ও সশস্ত্র বাহিনীতে অফিসার নিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ করে দিয়েছি। দেশে জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। নারী-পুরুষ সমানতালে না এগোলে দেশ এগোতে পারে না।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “নারীদের সংসারের কাজও কম নয়, সেটাও কর্মক্ষেত্র। ঘরের কাজ নারী-পুরুষ দুজনে মিলেই ভাগ করে নেন। এতে লজ্জার কিছু নেই। এতে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং পরিবারকে সময় দেওয়া যায়।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়েই মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। সে জন্য যার যেখানে জমি আছে, উৎপাদন কাজে ব্যবহার করুন। সবাইকে সাশ্রয়ী, সঞ্চয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “বিশ্বের অনেক দেশ মন্দা ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা মিতব্যয়ী-সাশ্রয়ী হলে আমাদের এমন ঘোষণা দিতে হবে না। নিজেদের পায়েই নিজেরা দাঁড়াতে পারব।”
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর পদকপ্রাপ্তরা হলেন নারীশিক্ষায় ফরিদপুরের রহিমা খাতুন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় চট্টগ্রামের অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম, নারীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে সাতক্ষীরার ফরিদা ইয়াসমিন, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে নারী জাগরণে নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন এবং পল্লী উন্নয়নে ঝিনাইদহের নাছিমা বেগম।