এই নৃশংসতার বর্ণনা শুনলে গা শিউরে ওঠে। হলিউড-বলিউডের সিনেমাকেও যেন হার মানাল। বলছি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদারের কথা।
প্রাথমিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের অনুমান, নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে ডাকা হয়েছিল এমপি আনারকে। সেখানেই তাকে খুন করে দেহ টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় এই কসাই জিহাদের সাহায্যে। প্রমাণ লোপাট করতে কুচি কুচি করে দেহ কেটে তা কিমা বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, প্রমাণ লোপাটের জন্য শরীর থেকে তুলে ফেলা হয়েছিল চামড়াও। হাড় আলাদা করে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছেন, আখতারুজ্জামানের শাহীনের নির্দেশে তিনিসহ চারজন মিলে এমপি আনারকে ফ্ল্যাটে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
এরপর তারপর ওই ফ্ল্যাটের মধ্যেই পুরো শরীর থেকে সব মাংস আলাদা করে জিহাদ কিমা করে, তারপর তা কিছু পলিথিনে রেখে দেন। হাড়গুলোকেও ছোট ছোট টুকরা করে প্যাকেট করা হয়। পরে সেসব প্যাকেট ফ্ল্যাট থেকে বের করে বিভিন্ন গাড়ি ব্যবহার করে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় ফেলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোরে সিআইডি ও পুলিশ আটক করে জিহাদসহ ট্যাক্সি ক্যাব চালককে। তারা জানায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পোলেরহাট থানার কৃষ্ণমাটি এলাকার একটি খালে মরদেহের কিছু অংশ ফেলা হয়েছে। মরদেহ কিমা ও হাড়গুলো ছোট ছোট টুকরা করায় সব অংশ উদ্ধার একেবারেই অসম্ভব।
কলকাতার পুলিশ জানিয়েছে, এমপি আনার খুনে গ্রেপ্তার সিয়ামই কসাই জিহাদ। তার প্রকৃত নাম জিহাদ হাওলাদার। তিনি পেশায় কসাই। বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য নিজের নাম সিয়াম বলা শুরু করে জিহাদ। ২৪ বছরের জিহাদের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায়। কয়েক বছর ধরে মুম্বাইতে থাকতেন জিহাদ।