নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এতে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি শীত পড়বে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, “জানুয়ারিতে একটি থেকে তিনটি, মৃদু থেকে মাঝারি এবং একটি থেকে দুইটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। আগামী কয়েকদিন কুয়াশার পরিমাণও বেড়ে যাবে।”
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “উত্তরের হিমেল হাওয়ার প্রভাব বাড়তে থাকবে। পুরো মাসজুড়েই শীতের অনুভূতি বেশি থাকবে। আজ (৩১ ডিসেম্বর) থেকে সারা দেশে তাপমাত্রা কমে আসবে।”
পূর্বাভাস অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, সিলেট বিভাগে ঠান্ডার অনুভূতি বাড়বে। ধীরে ধীরে মধ্যাঞ্চল হয়ে দেশের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত এর বিস্তার হতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে শৈত্যপ্রবাহ থাকবে। যা শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পর্যন্ত থাকতে পারে।
সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
বছরের শেষ দিনে (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। একইসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
