মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের একাধিক তালিকা তৈরি করেছে সরকার। সেই সব তালিকায় নানাভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকার প্রমাণও মিলেছে অনেকবার। যার মধ্যে ৫০ বছরের নিচে অনেক ব্যক্তি এবং সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাও ছিলেন। এখন পর্যন্ত এমন ৮ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে আয়োজিত সমাবেশের আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাইবাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাইবাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা জাতীয় কাউন্সিলে পাঠায়। তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, সেটা কেউ অভিযোগ করলে বা মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে সেগুলো বাতিল করা হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমান যুগে প্রতারণা করা সহজ। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য থাকলে সেগুলো যাচাইবাছাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রমাণ হওয়ায় ভুয়া আট হাজার জনকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মুজিবনগর সরকারের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠিত মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের ধারাবাহিকতায় আজকের এই সরকার। সেই স্মৃতিকে অম্লান করে রাখার জন্য মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কিছু অবজারভেশন আছে। তিনি কিছু মতামত ব্যক্ত করেছেন, সেটা দিয়েছেন। এটা যাতে আন্তর্জাতিক মানের করা যায় সে বিষয়ে বলেছেন।
আগামী ১৭ এপ্রিলের আগেই মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।