• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বেনাপোল এক্সপ্রেসে দগ্ধ ৮ জনই আশঙ্কাজনক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ১২:৫০ পিএম
বেনাপোল এক্সপ্রেসে দগ্ধ ৮ জনই আশঙ্কাজনক
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে বেনাপোল এক্সপ্রেস। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনে দগ্ধ আটজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।

শনিবার (৬ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, “আমাদের এখানে ভর্তি আছে আটজন। বার্নের পার্সেন্টেজ বেশি না, কারও ৯ পার্সেন্ট, ৮ পার্সেন্ট। অনেকের বাইরে কোনো বার্নই হয়নি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো, তাদের সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আমরা দেখতে পেলাম, তাদের অনেকের ভেতরে অসুবিধা আছে, ম্যানেজ করতে সময় লাগবে।”

তিনি আরও বলেন, “কোনো রোগী এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা বাসায় না যাবে তাদের আমরা আশঙ্কামুক্ত বলতে পারি না। আরেকটা কথা বলতে পারি, যখনই তারা ভালো হয়ে যাবে তাদের যে মেন্টাল ট্রমা, আমি দেখলাম একটা বাচ্চা ভয় পাচ্ছে; চিৎকার শুনে ভয় পায়। রোগীরা ভীষণ আতঙ্কিত। এ আতঙ্ক যে কবে কাটবে এটা বলা যায় না। এটার দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার দরকার।”

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগে। এতে চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনই শিশু। এ ছাড়া দগ্ধ হয়েছেন অনেকে। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনের কয়েকটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা পানি দিয়ে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।

এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিস জানায়, বেনাপোল এক্সপ্রেসের ৪টি বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের চেষ্টায় রাত সোয়া ১০টায় তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

এর আগে ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে মা ও শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়। সবমিলিয়ে গত ২৮ অক্টোবরের পর ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৮ জন নিহত হলেন।

Link copied!