• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজধানীতে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সতর্কবার্তা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২৪, ০২:২২ পিএম
রাজধানীতে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের শঙ্কা, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সতর্কবার্তা
বক্তব্য রাখছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। এতে প্রায় ২০ শতাংশ ভবন ধসে লাখ লাখ মানুষ আটকা পড়তে পারেন বলেও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১২ জুন) বাংলাদেশের সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।

মহিববুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। এতে ২০ শতাংশ বিল্ডিং কোলাপস হয়ে যেতে পারে। ঢাকা শহরে লাখ লাখ মানুষ আটকা পড়তে পারেন। অনেক লোকের মৃত্যুর আশঙ্কাও রয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে কাজ করছি।”

ভয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এমন পরিস্থিতি বহু দেশে হয়ে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছি। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা আছে।”

মহিববুর রহমান বলেন, “যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহরে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”

এত উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা তিনি কীসের ভিত্তিতে দিচ্ছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।”

ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে করণীয় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে, পুরো জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে।”

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় রেমাল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল জানিয়ে মহিববুর রহমান বলেন, “এতবড় ঝড় হওয়ার পর একজন মৎস্যজীবীও মারা যাননি, একটা নৌকাও ডোবেনি। আগামী দিনেও যেকোনো সময় ঝড় আসতে পারে, যে কারণে সারাক্ষণ ও সারা বছর আমাদের মন্ত্রণালয়কে কাজ করতে হয়।”

Link copied!