• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১, ৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দেশের ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃতির শঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
দেশের ৮ জেলা বন্যাকবলিত, আরও বিস্তৃতির শঙ্কা
বন্যাকবলিত এলাকা। ছবি : সংগৃহীত

দেশে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের ৮ জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা।

বুধবার (২১ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বন্যা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

কে এম আলী রেজা বলেন, “ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ এক কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ১৫ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী টিম ফেনীতে পৌঁছেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।” ‌

অতিরিক্ত সচিব বলেন, “সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।”

কে এম আলী রেজা আরও বলেন, “দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ কারণে ওই সব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্যা আক্রান্ত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।

এরইমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। ‌ফেনী জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

Link copied!