আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা আইনজীবী আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার টাকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে দিতে হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ১৫ আগস্টের শোক দিবসের আলোচনা সভায় ‘সংবিধান অনুসারে বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’ উল্লেখ করে বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের দুই বিচারপতি।
এরপর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আপিল বিভাগের ওই দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ছাড়া ওই দুজন বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মিছিল সমাবেশও করেন তারা।
এসব ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট বিএনপির সাত আইনজীবী নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুঁথি। আইনজীবী নাজমুল হুদার পক্ষে এ আবেদন দায়ের করেন তিনি।
আদালত অবমানার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতা হলেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
তবে এর মধ্যে আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন।