• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মার্চে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ৫৯২


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
মার্চে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ৫৯২

রাজধানীসহ সারা দেশে দুর্ঘটনা কিছুতেই কমছে না। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছেই। দুর্ঘটনায় আহতের পাশাপাশি অনেকের মৃত্যুও হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় গেল মার্চে সড়ক, রেল ও নৌ পথে ৫৪৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৯২ জন। এসময় আহত হয়েছেন এক হাজার ১৬৭ জন। এরমধ্যে বরাবরের মতো সড়ক পথে এবারও সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আহত হয়েছে। এ মাসে ৪৮৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ জন নিহত ও এক হাজার ১৩৮ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৫ এপ্রিল) যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্চে রেলপথে ৫৩টি দুর্ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ৯টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ১৪ জন আহত এবং ২ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় ১৫২টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ৯৭ জন আহত হয়েছেন।

সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭৯ জন চালক, ১০১ পথচারী, ৬০ পরিবহন শ্রমিক, ১২২ শিক্ষার্থী, ১৩ শিক্ষক, ১২ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৯০ নারী, ৫০ শিশু, ২ সাংবাদিক, ৭ মুক্তিযোদ্ধা, ২ আইনজীবী ও একজন প্রকৌশলী এবং ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

যার মধ্যে ৩ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ২ আনসার সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১৪০ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৯৩ পথচারী, ৬৭ নারী, ৩৭ শিশু, ৪২ শিক্ষার্থী, ২৫ পরিবহন শ্রমিক, ৯ শিক্ষক, ৬ বীর মুক্তিযোদ্ধা, ৩ চিকিৎসক, ১ জন সাংবাদিক, ২ আইনজীবী ও ৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।

এ সময়ে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ৬৬৬টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ১৬ দশমিক ৮১ শতাংশ বাস, ২৮ দশমিক ২৩ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস, ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ১১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৯ দশমিক ৩০ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৬ দশমিক ৪২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং ১ দশমিক ২৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৩ দশমিক ০৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২৩ দশমিক ২০ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫ দশমিক ১১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে।

এছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ২৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ২৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হলো—

১. চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে গাড়ি চালানো।

২. বেপরোয়া গতি ও বিপজ্জনক ওভারটেকিং।

৩. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন রাস্তায় নামানো।

৪. ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল।

৫. চালকের কর্মঘণ্টা ও বেতন সুনির্দিষ্ট না থাকা।

৬. রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা। রাস্তার পাশে হাট-বাজার।

৭. যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা।

৮. ট্র্যাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ ও ট্র্যাফিক আইন অমান্য করা।

৯. ছোট যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি ফলে সড়কে দুর্ঘটনা ক্রমবর্ধমান।

Link copied!