সদ্য বিলুপ্ত সংসদের সদস্যদের জন্য টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, মার্সিডিজ বেঞ্জের বিলাসবহুল মডেলের ৫২টি গাড়ি আনা হয়েছে। ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার সিসির অত্যাধুনিক এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ছাড়ের অপেক্ষায় ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় শুল্ক ছাড়া গাড়িগুলো ব্যবহারের আর সুযোগ থাকছে না। ফলে নিলামে উঠতে যাচ্ছে সাবেক সংসদ সদস্যদের জন্য আনা এসব গাড়ি।
এসব গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস করা যাবে না বলে এরইমধ্যে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান যথাযথ শুল্ক পরিশোধ করলে গাড়ি খালাসের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। না হলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিন অতিক্রান্ত হলে আমরা কাস্টমকে কাগজে কলমে এসব গাড়ি হস্তান্তর করব। তবে আমরা শুনেছি এনবিআর এসব গাড়ির জন্য আলাদা উদ্যোগ নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে যে ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘যে কোনো পণ্য আমদানির পর নির্ধারিত সময়ে খালাস না নিলে আমরা আমদানিকারককে নোটিশ দিই। এরপরও সে কোনো ব্যবস্থা না নিলে আমরা সেটি নিয়মানুযায়ী নিলামের ব্যবস্থা করি।’
বিলাসবহুল এসব গাড়ি ছাড় করাতে ৮১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি গাড়ির দাম উঠবে ছয় থেকে আট কোটি টাকা। তাই প্রচলিত শুল্ক হারে এসব গাড়ি খালাসের উদ্যোগ যথাযথ নয় বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পুরনো গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স এসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এই গাড়িগুলোর শুল্কসহ অনেক দাম পড়বে। এত দাম দিয়ে বাজারে এসব গাড়ি কেনা মতো লোক নেই। একই গাড়ি পেট্রোল চালিত হলে দাম আরও কমে যাবে। এগুলো ডিজেল চালিত। কে কিনবে এসব গাড়ি?’
গাড়িগুলোর আমদানিকারকদের তালিকায় আছেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, সাকিব আল হাসান, ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।