• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৩, ০৮:৩৬ এএম
অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি
ছবি : সংগৃহীত

মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় চলতি বছর বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) সূচক ২০২৩-এর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় পাঁচটি দেশকে পেছনে ফেলে ৪১ থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এ সূচকে গত বছর বাংলাদেশ ২০২১ সালের তুলনায় ৮ ধাপ উন্নতি করেছিল। এ উন্নতির পেছনে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এপিজির মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সব কটিই বাস্তবায়ন করেছে। সূচক অনুযায়ী সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে হাইতি (প্রথম), চাঁদ (দ্বিতীয়), মিয়ানমার (তৃতীয়) ও কঙ্গো (চতুর্থ)। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হলো আইসল্যান্ড (১৫২তম)। তালিকায় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ২৭, ১১৯ ও ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অন গভর্ন্যান্স ১২ বছর ধরে কোনো একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাসেল এএমএল সূচক নির্ধারণ করে থাকে।

এগুলো হলো, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন (৬৫ শতাংশ), ঘুষ ও দুর্নীতি (১০ শতাংশ), আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড (১০ শতাংশ), স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি (৫ শতাংশ) এবং আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি (১০ শতাংশ)।

Link copied!