চলতি বছর বৈশ্বিক শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স’ এই সূচক তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) নতুন সূচক প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এতে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ তালিকার ৯৬তম অবস্থানে রয়েছে। এর আগে গত ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। মানে এই সময়ের মধ্যে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে ‘সবুজ পাসপোর্টের’ উন্নতি হয়েছে পাঁচ ধাপ।
সর্বশেষ সূচকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ২২৬টি গন্তব্যের মধ্যে ৪০টিতে আগাম ভিসা ছাড়া শুধু অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ভ্রমণ করতে পারবেন। আর ওপেননেসে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৮ এর মধ্যে ১৬০। খবর সিএনএন।
একটি নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্টধারীরা কতগুলো গন্তব্যে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন সেটির ওপর নির্ভর করে এই সূচক তৈরি করা হয়। গত ১৭ বছর বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে।
হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের এ সূচকে গত ৫ বছর ধরে শক্তিশালী পাসপোর্টের ‘শীর্ষস্থানে’ ছিল জাপান। তবে নতুন প্রকাশিত সূচকে জাপানকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে এসেছে সিঙ্গাপুর। এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা ২২৬টি গন্তব্যের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৯২টিতে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন। অপরদিকে শীর্ষে থাকা জাপান নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। বর্তমানে জাপানিরা ১৮৯টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর আধিপত্য থাকত। তবে সর্বশেষ সূচকে ইউরোপের উন্নতি হয়েছে। ইউরোপিয়ান দেশ জার্মানি, ইতালি এবং স্পেন দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। বর্তমানে এ তিনটি দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়া ১৯০টি দেশে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপের পাসপোর্ট সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে (৫৮তম) রয়েছে। এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা ৮৮ গন্তব্যে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন। ভারতীয়রা যেতে পারেন ৮০টি গন্তব্যে। পাকিস্তান ১০০তম অবস্থানে। তারা যেতে পারবেন ৩৩টি গন্তব্যে। এবারের এই সূচকে একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটির পাসপোর্টধারীরা মাত্র ২৭টি গন্তব্যে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারবেন।