সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের কথা বলে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত ডাকাতি করেছে।
এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক বাদী হয়ে মামলার করার পর র্যাব শনিবার (১২ অক্টোবর) অভিযান চালিয়ে ৮জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫জনই বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
র্যাব কর্মকর্তা মুনীম ফেরদৌস জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজন বিভিন্ন বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্য। বাকি তিনজন সাধারণ মানুষ। তাদের কাছ থেকে সোনার একটি ব্রেসলেট ও আংটি উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় কোনো বাহিনীর সদস্য জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে মূলত যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অনেক নাটক আছে শুনেছি। তবে, থানা পুলিশের কাছে এখন পর্যন্ত একজনকেও সোপর্দ করা হয়নি।”
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড় বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্যবসায়ী আবু বকরের বাসায় ডাকাতি হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, যৌথ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে সেনাবাহিনী ও র্যাবের পোশাক পরে ডাকাতরা বাসায় ঢুকে ডাকাতি করে। এ সময় ৭৫ লাখ টাকা ও ৭০ ভরি সোনা লুট করা হয়।
এ ঘটনায় আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। আবু বকর জমি ও ইট-বালু কেনাবেচার ব্যবসা করেন বলে জানায় পুলিশ।