বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তখনকার পিজি হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার দাফন হয় টাঙ্গাইলের সন্তোষে। দিনটিতে এই মজলুম জননেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে নানা আনুষ্ঠানিকতার শুরু করেছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যাবেন তাঁর স্বজনেরাও।
ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম রাজনীতিবিদ তিনি। সাতচল্লিশে পাকিস্তান সৃষ্টি ও একাত্তরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছিল তার বড় অবদান। চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট গঠনেও ছিলেন সামনের সারিতে। রাজনৈতিক জীবনে ছিলেন বামধারার অনুসারী। কৃষকদের জন্য পূর্ব পাকিস্তান কৃষক পার্টি করে পান দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা। দেশের স্বাধীনতা প্রশ্নে নিশ্চিত হয়েছিলেন পঞ্চাশের দশকেই। ১৯৫৭-তে কাগমারী সম্মেলনে পশ্চিমা শাসকদের দিয়েছিলেন স্বাধিকারের বার্তা। মুক্তিযুদ্ধে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন মাওলানা ভাসানী।
এদিকে, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার আজিম আখন্দের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ভাসানী পরিবারের পক্ষ থেকে মাজারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ ছাড়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে।
মজলুম এই জননেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে দোয়া মাহফিল করা হচ্ছে।