প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে দুর্গাপূজায় সেনা মোতায়েনসহ ৪ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো দুর্গাপূজায় তিন দিন সরকারি ছুটি, স্থায়ী অস্থায়ী পূজা মন্দির ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করা এবং প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে দুর্গাপূজায় সেনা বাহিনী মোতায়েন।
বক্তারা বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আগামী ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে ৫ দিনব্যাপী ধর্মীয় কর্মযজ্ঞ পালন করতে হয়। পূজার মূল তিন দিন সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী। এই উপলক্ষে দিন রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে দুর্গা পূজা সম্পাদন করতে হয়। কিন্তু ছুটির বেলায় হিন্দু সম্প্রদায় বৈষম্যের শিকার।
বক্তারা আরও বলেন, দুর্গাপূজা পালনের সময় ৫ দিনের হলেও মাত্র ১ দিন সরকারি ছুটি দেওয়া হয়। যে কারণে দুর্গাপূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকেই উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। এমনকি পরিবার পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন না।
এ সময় তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আসন্ন দুর্গা পূজা থেকে সরকারি ছুটি তিন দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) ঘোষণার দাবি জানান।
পূজা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। পূজার আগে ও পরে বিভিন্ন জেলায় প্রতিমা বানানোর সময় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মণ্ডপের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানায় হিন্দু মহাজোট।
সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায়, নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, প্রধান সমন্বয়কারী ড. সোনালী দাস, নির্বাহী সভাপতি সুধাংশু চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।