বারিধারার কূটনৈতিক জোনের ফিলিস্তিন দূতাবাসের পাশে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল কাওছার আলী মোট ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার রিফাত রহমান শামীম। তিনি জানান, কনস্টেবল কাওছারের অস্ত্রের একটি ম্যাগাজিনে মোট ৩০ রাউন্ড গুলি ছিল। তিনি সব কটিই ফায়ার করেছেন। পরে আরেক ম্যাগাজিনের ৮ রাউন্ড গুলি ফায়ার করেন।
রিফাত রহমান শামীম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছিল অভিযুক্ত কাওছারের কাছে। অস্ত্রটি ব্রাজিলের তৈরি। কাওছার মোট ৩৮ রাউন্ড গুলি ফায়ার করেছেন।”
শনিবার (৮ জুন) রাতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী গুলি করেন আরেক পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে। বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান মনিরুল। আহত হন জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ শেখ।
রাত পৌনে ১২টার দিকে ঘটা এ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই সড়কে যান চলাচল। আধা ঘণ্টার চেষ্টায় কনস্টেবল কাওছারকে নিরস্ত্র করা হয়। ছুটে আসেন পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াট, গোয়েন্দা শাখাসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।