গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, “গাজীপুরের নির্বাচনের ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টিই ঝুঁকিপূর্ণ। আর ১২৯টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।”
মঙ্গলবার (২৩ মে) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনী এলাকার তথ্য তুলে ধরে মো. আলমগীর বলেন, “শিল্প এলাকা বিধায় গাজীপুর সিটিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বসবাস করেন। তাই মানুষের মধ্যে অপরাধ প্রবণতাও বেশি। তবে নির্বাচনী পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো। কোনো থ্রেট না থাকলেও যেহেতু শিল্প এলাকা তাই দুষ্কৃতিকারীরা বা অসৎ উদ্দেশ্য যাদের থাকে তারা যেন অন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে তাই অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “৫৭টি ওয়ার্ডে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৭৪ জন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে। সেখানে র্যাবের ৩০টি টিম থাকবে। বিজিবি প্রায় ১৩ প্লাটুন থাকবে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স পুলিশের ১৯টি ও মোবাইল টিম হিসেবে ৫৭টি টিম থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ ও সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স থাকবে। অর্থাৎ প্রচুর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। যাতে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না হয়।”
তিনি আরও বলেন, “অনিয়মের মাত্রার ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কী নেওয়া হবে, তা নির্ভর করবে। ব্যক্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, অনিয়মের মাত্রার ওপর শাস্তি নির্ভর করবে।”