রাষ্ট্রের খাদ্যের পুষ্টির পেছনে বছরে সরকারের প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ে গবেষণা বিষয়ক সূচনা কর্মশালা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ইসমাইল হোসেন বলেন, “সরকারের প্রায় ১৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগ পুষ্টি নিয়ে কাজ করে। বছরে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় রাষ্ট্রের খাদ্যের পুষ্টির পেছনে। আমরা যদি খাদ্য নিরাপদ করতে পারতাম এবং পুষ্টি ও খাদ্যের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে ঠিকঠাক জ্ঞান দিতে পারতাম তাহলে রাষ্ট্রের এই ৩৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হতো না। সমস্যাটা কোথায় সেটা আমাদের চিহ্নিত করতে হবে এবং সমাধান করতে হবে সবকিছু সাদা চোখে দেখলে হবে না।”
খাদ্য সচিব বলেন, “নিরাপদ খাদ্য পুরো বিশ্বের জন্যই বার্নিং ইস্যু। আমাদের দেশের জন্য তো বটেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তার কথা বলে এসেছি। স্বাধীনতার পর দেশে এক কোটি মেট্রিক টন খাদ্য-শস্য উৎপাদন করতাম সেখান থেকে বৃদ্ধি করে বর্তমানে ছয় কোটি মেট্রিক টন খাবার উৎপন্ন করছি।”
জাপান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “জাইকা শুরু থেকেই আমাদের সহযোগিতা করছে এবং সামনে আরও বড় সহযোগিতার হতে বাড়িয়ে দিয়েছেন। জাইকার সহযোগিতার পাশাপাশি আশার আলো দেখাচ্ছে দেখাচ্ছে ডব্লিউএফপি, এফএও-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।”
খাদ্য সচিব বলেন, “পথ অনেক লম্বা এই বলে তো ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের ধীরে ধীরে এগোতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে গঠিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই একটি ভালো জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছে।”
অনুষ্ঠানে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক গবেষণায় সাত জনকে ৭৪ লাখ টাকা ও পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোরশেদ আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইয়ুম সরকার।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার আরিফুল ইসলাম, কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন প্রধান ও ড. গোলাম ফেরদৌস চৌধুরী।