• ঢাকা
  • বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিদেশে গিয়ে ঘাস চাষ শিখতে চান ৩২ কর্মকর্তা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
বিদেশে গিয়ে ঘাস চাষ শিখতে চান ৩২ কর্মকর্তা

বিভিন্ন প্রকল্পে শিক্ষণের নামে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ যেন নিয়মিতই ঘটনা। মাছ চাষ, খিচুড়ি রান্নার মতো বিষয়গুলো শিখতে বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে গিয়েছেন। এ নিয়ে সমালোচনারও অন্ত ছিলো না। এর মধ্যে ঘাস চাষ শিখতে একটি প্রকল্পের ৩২ কর্মকর্তা বিদেশ যেতে চান। সম্প্রতি জাগো নিউজের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান একটি প্রকল্পের আওতায় এ খাতে খরচ ধরা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রত্যেক কর্মকর্তা খরচ বাবদ পাবেন ১০ লাখ টাকা। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা।

দেশে গবাদি পশুর জন্য পুষ্টিকর ঘাস উৎপাদনের জন্য ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় এ অর্থ চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ১১৭ কেটি ৪৯ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ছে এক বছর। বাড়তি সময়ের মধ্যে হলেও বিদেশ ভ্রমণে যেতে চান কর্মকর্তারা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব এরই মধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে তারা।

৩২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক আমজাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, “প্রকল্পের কাজ চলমান। বর্তমানে অগ্রগতি প্রায় ২৭ শতাংশ। প্রকল্পে ৩২ কর্মকর্তা উন্নত দেশে ভ্রমণ করবেন, যেখানে ঘাসের চাষ ভালো হয়। দেশগুলো নিউজিল্যান্ড হতে পারে, ভিয়েতনাম হতে পারে আবার অন্য দেশও হতে পারে।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩১ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা মোট ব্যয়ের প্রায় ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পের জন্য কোনো বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ না পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী অগ্রগতি হয়নি এবং ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পের নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাই ব্যয় ব্যতিরেকে মেয়াদ ডিসেম্বর ২০২৫ নাগাদ বাড়ছে।

এ বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) মো. ছায়েদুজ্জামান বলেন, “এখন বিদেশ ভ্রমণের সময় নয়, দেশের জন্য কাজ করার সময়। কোনো অনুমোদিত প্রকল্পে যদি ঘাস চাষের কোনো বিষয় থাকে সেটা বাদ দেওয়া হবে। বিদেশ ভ্রমণের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। এটা আমাদের হাতে এলে কেটে বাদ দেবো। এখন প্রকল্পের আওতায় কেউ বিদেশ যেতে পারবে না সাফ কথা।”

Link copied!