• ঢাকা
  • শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩০, ১ শা'বান ১৪৪৬

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে যে ৩ বিষয় গুরুত্ব পাবে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে যে ৩ বিষয় গুরুত্ব পাবে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণে ৩টি বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন, “ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থা ও অবস্থান এবং সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের তৃতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ নিয়ে আলোচনা করেছি জানিয়ে আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “জানতে পেরেছি বর্তমান আইনে দুটি বিষয় মূলত সমস্যা সৃষ্টি করছে। একটি হলো, জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা যেটা প্রস্তাব করতে চাচ্ছি, সেটি হলো ভৌগোলিক আয়তন, অবস্থা ও অবস্থান এবং সর্বশেষ জনশুমারি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণের ব্যবস্থা করা।”

নির্বাচন কমিশনার বলেন, “মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এটাকে শুধু জনসংখ্যার ওপর অথবা জনশুমারির ওপর রাখলে দেখা যাবে শহরের দিকের আসন সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকবে এবং অপর এলাকাগুলোর আসন সংখ্যা কমে যাবে সেটা রিপ্রেজেন্টিং হবে না বলে মনে করে কমিশন।”

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “সংসদীয় আসনের সীমার নির্ধারণ আইন-২০২১-এর একটি উপধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হবে। এ আইনের একটি উপধারা রয়েছে সেই উপধারায় একটি টাইপিং মিস্টেক আছে। আমাদের কাছে তা মনে হচ্ছে এবং আমরা আমাদের রেকর্ডের দিক থেকে যেটা পেয়েছি।”

নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমাদের এখান থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। উপধারা ২-কে ধারণ করে উপধারা-৩ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে টাইপিং মিস্টেকের কারণে সম্ভবত এখানে উপধারা এক হয়ে গিয়েছে, ফলে যেটা দাঁড়িয়েছে যে নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারবে না। এ সমস্যাটি তুলে ধরে আমরা সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করব।”

আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, “এখন পর্যন্ত ৪১টি সংসদীয় আসনে ২৪৮টি সীমানা সংক্রান্ত আবেদন এসেছে। যার বেশির ভাগই আগের সীমানা ফিরে পেতে। আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করব।”

Link copied!