• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
গ্যাটকো মামলা

অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়াসহ ৩ জন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
অব্যাহতি পেলেন খালেদা জিয়াসহ ৩ জন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ আদালত-৩-এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

অব্যাহতি পাওয়া অন্যরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তবে এ মামলায় অপর ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিচার শুরু হওয়ার আদেশ হওয়া ১২ জন হলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, এ এম সানওয়ার হোসেন, সৈয়দ তানভীর আহমেদ, সৈয়দ গালিব আহমেদ ও এ এম এম শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার মামলাটি চার্জ গঠনের শুনানির দিনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম সকল আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারসহ আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, জাকির হোসেন ভূইয়া অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে ১২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। ২০০৮ সালের ১৩ মে তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদা খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোকে ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ পাইয়ে দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার ক্ষতি করেছেন।

২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি তদন্ত করে চারদলীয় জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার বিচার চলাকালে ৯ আসামি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম।

Link copied!