শমী কায়সার ও তাপসের ৩ দিন করে রিমান্ড


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
শমী কায়সার ও তাপসের ৩ দিন করে রিমান্ড
আদালত প্রাঙ্গণে শমী কায়সার ও তাপস। ছবি : সংগৃহীত

হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শুনানিকালে তাকে থানা থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর তাপসকে সোমবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠিয়ে আজ রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেন আদালত।

গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ নামের একজন ভুক্তভোগী শমী কায়সার ও তাপসের বিরুদ্ধে এই হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যান্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। পরে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে মামলা দায়ের করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর মাগুরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির। আদালত মামলাটি ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

শমী কায়সারের বিরুদ্ধে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা রয়েছে। ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।

Link copied!