আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, “আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপি যে স্বপ্ন দেখছে সেই স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিতে হবে। ঢাকা শহর থাকবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের দখলে। বিএনপিকে মোকাবিলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে।”
রোববার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের বিপরীতে দলীয় কার্যক্রম কী হবে- সে বিষয়ে নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আগামী ২৮ অক্টোবর শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। সমাবেশে ১০ লাখ লোকের সমাগমের মাধ্যমে বিএনপির কবর রচনা করা হবে।”
বিএনপির নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, “স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। এই রাজধানী ঢাকায় সারা দেশ থেকে যে সন্ত্রাসীদের ঢুকিয়েছেন, ঢাকাবাসীর শান্তির শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ওইসব সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করে তাদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হবে।”
দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে নানক বলেন, “নগরের প্রত্যেকটা ইউনিট-ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা আরামের ঘুম হারাম করে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যেতে হবে। বিএনপি এবং তাদের আন্তর্জাতিক মুরুব্বিরা দেশকে অচল অবস্থা তৈরি করতে চায়। ওরা দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, সেটা আমরা হতে দেব না।”
বিএনপির মহাসচিবের সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “কাকে পদত্যাগ করতে বলেন? কী কারণে পদত্যাগ করতে হবে? এটা কি মামুর বাড়ির আবদার! ওরা (বিএনপির নেতা) রাজধানীতে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ফ্ল্যাট দ্বিগুণ টাকায় ভাড়া নিয়েছে। তাদের অনেক টাকা। আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। এই সন্ত্রাসীদের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।”
সাপকে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু বিএনপি-জামায়াতকে বিশ্বাস করা যায় না উল্লেখ্য করে নানক বলেন, “কেন বিশ্বাস করা যায় না? ২০১৪ সালে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। আন্দোলনের নামে সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন দেশের এত উন্নয়ন তাদের ভালো লাগে না। তারা আবার ষড়যন্ত্র করছে।”
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।
এসময় নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।