ভারত থেকে চতুর্থ চালানে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম এসেছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ভারতীয় একটি ট্রাকে এই ডিম আমদানি হয়। এই চালানে প্রতি পিসের দাম পড়েছে সাড়ে ৬ টাকা।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতেই ডিমের চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হবে।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।
শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, “ডিম পর্যায়ক্রমে আরও আসবে ৪০ লাখ। এ ছাড়া আরও পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।”
বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব করা হয়েছে। প্রতি পিস ডিমের শুল্ক মূল্য ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য পড়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সকল খরচ মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে ৪টি চালানে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার।
আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।