• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩০, ৫ রমজান ১৪৪৫

আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
আতিউর-বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ড. আতিউর রহমান ও ড. আবুল বারকাত। ফাইল ফটো

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবেল এ আদেশ দেন। 

নিষেধাজ্ঞার আদেশ হওয়া অন্যরা হলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর-২ আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, সাবেক সহকারী পরিচালক ইসমত আরা বেগম, সাবেক পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, মো. ইমদাদুল হক, নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ ও অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র নাথ।

এ ছাড়া জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আব্দুছ ছালাম আজাদ, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক আজমুল হক, সাবেক এজিএম অজয় কুমার ঘোষ, জনতা ভবন করপোরেট শাখার সাবেক ম্যানেজার মো. গোলাম আজম, ব্যাংকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, এসইও মো. এমদাদুল হক, সাবেক উপমহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল জব্বার, সাবেক ডিএমডি মো. গোলাম ফারুক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক, এননটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ বাদল, মেসার্স সুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন ও পরিচালক মো. আবু তালহা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। গোপনসূত্রে জানা গেছে, আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এজাহারনামীয় ২৩আসামির বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করে জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংকে বন্ধক দেওয়া জমিতে কোনো ভবন, কারখানা বা স্থাপনা না থাকা সত্ত্বেও তাতে স্থাপনা দেখিয়ে মূল্যায়ন করে স্থাপনাবিহীন ৩ কোটি চার লাখ ৯৬ হাজার টাকার জমিকে ১৬ হাজার ৪৮২.৫০ লাখ টাকা অতিমূল্যায়ন করে ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ করেন। এর মাধ্যমে আসামিরা জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখা থেকে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাৎ করেন।

Link copied!