চলতি বছর রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ২৩ জন। তাদের হজ ফ্লাইট আগামী ২১ জুন সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় চূড়ান্ত করেছে ঢাকার হজ অফিস। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৩৫ ফ্লাইটে তারা সৌদি আবর যাবেন এবং আগামী ২০ জুলাই তারা দেশে ফিরবেন।
শনিবার (৩ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (২ জুন) ধর্ম সচিবকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
অন্যান্য বছর সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনীতিক, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, ইমামসহ ২৫০ থেকে ৩০০ ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যেতেন। চলতি বছর হজের খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়ার লাগাম টেনেছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার মাত্র ২৩ জন রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন। তবে তাদের প্লেন ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন যারা
ঢাকার বড় মগবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী আফিয়া হোসেন, রংপুরের মো. বাদশা আলমগীর, জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস খান, রংপুরের মো. আব্দুল কায়েম মিয়া, মাগুরা সদরের এস এম ফরিদ উজ-জামান ও তার স্ত্রী দিলশান আরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের অবসরপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী মো. রাশেদুন নবী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসি মেকানিক মো. ইউসুফ আলী ও তার স্ত্রী জান্নাত আরা রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরবরিকালচারের মালী সাহেব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংলগ্ন স্টাফ কোয়ার্টার্সের সখিনা আক্তার, গোপালগঞ্জের মো. এনামুল হক শেখ, গুলশানের গাজী শাহাদাৎ হোসেন, কুমিল্লার মো. নুরুল ইসলাম, রাজধানীর উত্তর আদাবরের অধ্যক্ষ (অব.) পিএম মনসুর রহমান, গাইবান্ধার মো. নুরুল হোসেন খন্দকার, ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীর জামাল উদ্দিন মো. আকবর ভূঁইয়া, জয়পুরহাটের দেওয়ান মাহবুবার রহমান এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শাহাদাৎ শেখ রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন।
শনিবার সকাল পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৩৭৪ বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আট হাজার ৬৭৫ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৮ হাজার ৬৯৯ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।