তিন দিনে ২০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করার লক্ষ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। এদিকে,বেঁধে দেওয়া ২৪ ঘণ্টা সময়ের আগেই ঢাকা দক্ষিণের সব বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে কাজ করছে যথাক্রমে ১০ ও সাড়ে ৯ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন বিভিন্ন এলাকায় বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন উত্তর ও দক্ষিণ সিটির দুই মেয়র।
ঈদের নামাজ শেষে পশু কোরবানির পর, দুপুর ২টায় বর্জ্য অপসারণ কর্মসূচি উদ্বোধন হয়। রাত ৮টার মধ্যে সব এলাকা পরিষ্কারের লক্ষ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, উত্তর সিটির ২টি ওয়ার্ডের ৬টি স্থানে কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিলে এক হাজার করে টাকা দিচ্ছে ডিএনসিসি। তবে, নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানিতে মানুষের আগ্রহ কম। এবার বর্জ্য অপসারণে উত্তর সিটিতে কাজ করছে ১০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
জানা গেছে, উত্তর সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট স্থানে ১২০০ পশু কোরবানি হয়েছে। এবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৩ লাখ পশু কোরবানি হবে। আর দক্ষিণ সিটিতে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কর্মী।
ঈদের নামাজ আদায় শেষে আল্লাহর নামে পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রাজধানীর তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় বাসার নিচের গ্যারেজে বা রাস্তার এক পাশে পশু কোরবানি দিচ্ছেন নগরবাসী।
তবে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে তেমন কাউকে কোরবানি দিতে দেখা যায়নি। বেশিরভাগই সামর্থ্য অনুযায়ী কেনা গরু বা ছাগল কোরবানি দিচ্ছেন। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ঈদের তৃতীয় দিন পর্যন্ত পশু কোরবানি দেন অনেকে। এদিকে, কোরবানির বর্জ্য দ্রুত সরাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। দুপুর থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু হয় বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।