পার্টনার প্রজেক্টের আওতায় দেশের দুই কোটি ২৭ লাখ ৫৩ হাজার ৩২১ জন কৃষককে ‘স্মার্ট কৃষি কার্ড’ দেওয়া হবে। এ কার্ডের মাধ্যমে দেশের বড়সংখ্যক কৃষক ডিজিটাল সেবা পাবেন এবং সরকারের ডিজিটাল ডেটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর) কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রোগাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশের (পার্টনার) একটি কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বর্তমান কৃষিকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য টেকসই ও নিরাপদ বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কৃষিখাতে নেওয়া সবচেয়ে বড় প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। প্রোগ্রাম অন অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) নামের এ প্রকল্পের ব্যয় প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।
কর্মশালায় বিভিন্ন ধাপে দেওয়া প্রেজেন্টেশনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, পার্টনার প্রোগ্রামের সার্বিক লক্ষ্য হচ্ছে খোরপোশ কৃষিকে ধাপে ধাপে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
বাণিজ্যিক কৃষির ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে কর্মকর্তারা বলেন, “প্রণোদনা থেকে শুরু করে পরামর্শসহ সব ধরনের সুবিধা এ স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রকৃত কৃষকরা যেন কোনোভাবেই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হন এবং সার ও বীজসহ সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত হয়, সে জন্য এ উদ্যোগ কৃষি খাতে বড় রকমের পরিবর্তন আনবে।”
কৃষকদের প্রসঙ্গ টেনে পার্টনার প্রকল্পের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন,
“আমাদের দেশের কৃষকদের বোকা ভাবলে ভুল করবেন। তারা যথেষ্ট স্মার্ট। পার্টনার প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষিসেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।”
চলতি বছর এপ্রিলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৭ হাজার ২১৪ কোটি টাকার এই প্রকল্প পাস হয়। পরবর্তী সময়ে এ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৬ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক হাজার ১৫১ কোটি ১৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা আসবে সরকারের অনুদান থেকে। বাকি ৫ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জোগান দেবে বিশ্বব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)।