২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে এবারের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির (আইসিটি) ১৯টি খাত করমুক্ত থাকছে। দেশীয় ব্যবসা থেকে আয় ও ব্যক্তিপর্যায়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্বল্পসময়ের মধ্যে ক্যাশলেস করার শর্তে এ খাতগুলো করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে যেসব খাত
১। এআই বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
২। ব্লকচেইন বেজড সলিউশন ডেভেলপমেন্ট
৩। রোবোটিকস প্রসেস আউটসোর্সিং
৪। সফটওয়্যার অ্যাজ অ্যা সার্ভিস
৫। সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস
৬। ডিজিটাল ডাটা এনালাইটিকস ও ডাটা সাইয়েন্স
৭। মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস
৮। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন
৯। সফটওয়্যার টেস্ট ল্যাব সার্ভিস
১০। ওয়েব লিস্টিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও সার্ভিস
১১। আইটি সহায়তা ও সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিস
১২। জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস
১৩। ডিজিটাল অ্যানিমেশন ডেভেলপমেন্ট
১৪। ডিজিটাল গ্রাফিকস ডিজাইন
১৫। ডিজিটাল ডেটা অ্যান্ট্রি ও প্রসেসিং
১৬। ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ও ই-পাবলিকেশন
১৭। আইটি ফ্রিল্যান্সিং
১৮। কল সেন্টার সার্ভিস
১৯। ডকুমেন্ট কনভারশন, ইমেজিং ও ডিজিটাল আর্কাইভিং
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাজেট ঘোষণার জন্য রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের সরকারি বাসভবন থেকে রওনা দেন অর্থমন্ত্রী। পরে বেলা পৌনে ১১টায় সংসদে পৌঁছান মন্ত্রী।
বাসভবন থেকে বেরিয়ে আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, “যতটুকু সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করছি। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করবে এবারের বাজেট।”
দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকছে।